শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন

আপডেট
জেল থেকে জ্যাকলিনের জন্য সুকেশের চিঠি

জেল থেকে জ্যাকলিনের জন্য সুকেশের চিঠি

মিস ইউনিভার্স শ্রীলঙ্কা জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ বলিউডে পা রেখেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। ‘মার্ডার টু’ খ্যাত অভিনেত্রী একের পর এক চমক দিয়ে যাচ্ছেন। অভিনয় এবং নাচ, দুই ক্ষেত্রেই প্রশংসার দাবিদার নায়িকা।

তবে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজকে আদালতের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে বারবার। সুকেশ চন্দ্রশেখর কাণ্ডে অভিনেত্রীকে বেশ দুর্ভোগই পোহাতে হচ্ছে। আর অভিনেত্রীর এমন দুর্ভোগের জন্য লজ্জিত, সম্প্রতি চিঠি লিখে সেরকমটাই জানালেন জেলবন্দি সুকেশ।

শুধু শুধুই হেনস্থা করার জন্য অহেতুক জ্যাকলিনের নাম জড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন সুকেশ। তিনি জানান এতো কিছুর দরকার ছিল না। গত সপ্তাহেই সমস্ত বক্তব্য চিঠিতে লিখে নিজের আইনজীবী মারফত আদালতে পাঠিয়েছেন সুকেশ। সেই চিঠির উত্তরে জ্যাকলিনের পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল দাবি করেন তার মক্কেল নির্দোষ। মক্কেলের সম্মান বাঁচাতে সব রকমের চেষ্টাই করবেন বলেও জানান তিনি।

আইনজীবী মারফত চিঠি পাঠিয়ে সুকেশ স্পষ্ট করতে চেয়েছিলেন যে জ্যাকলিন কোনোভাবেই ২০০ কোটি টাকার তহবিল তছরুপ কাণ্ডে জড়িত ছিলো না। সুকেশের দাবি, তারা সম্পর্কে ছিলেন। বহুমূল্য গাড়ি থেকে শুরু করে উপহার, যা কিছু আর্থিক লেনদেন, সবটাই ভালোবেসে জ্যাকলিনকে দেওয়া। সেখানে উপহার দেওয়া কি অস্বাভাবিক? দীর্ঘ সেই চিঠিতে আরও অনেক কিছুই ফাঁস করেছিলেন সুকেশ। গত রোববার (২৩ অক্টোবর) তা প্রকাশ্যে এসেছে।

সুকেশের সেই চিঠির প্রেক্ষিতে জ্যাকলিনের আইনজীবী বলেন, যদি এই চিঠি সুকেশের লেখা হয়, তা হলে তার দাবি অনুযায়ী জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ পুনরায় তদন্ত করে দেখা উচিত, ইডি সেটা করুক। প্রয়োজনে সুকেশের রেকর্ড করা বক্তব্য প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত করা হোক। সত্যের পথে তো যেতেই হবে! তদন্তের উদ্দেশ্য তো সত্য উদ্‌ঘাটন।

প্রশান্ত আরও জানান যে তিনি নিশ্চিতভাবে জানেন, জ্যাকলিন নির্দোষ।

ওই চিঠিতে সুকেশ আরও জানিয়েছেন, জ্যাকলিনের এ বিষয়ে জড়িয়ে পড়া দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আগেও বলেছি, আমরা সম্পর্কে ছিলাম। ওকে আর ওর পরিবারকে আমি উপহার দিয়েছি। এটা কি কোনোভাবে তাদের দোষ হতে পারে? আমার কাছে ভালোবাসা ছাড়া কখনও কিছুই চায়নি জ্যাকলিন। শুধু বলেছিল, পাশে থাকতে। ওদেরকে উপহার দিতে প্রতিটি পাই-পয়সা, যা আমি খরচ করেছি, তা বৈধ আয় থেকেই। এবং তার প্রমাণ আমি আগেও আদালতে দিয়েছি।

প্রসঙ্গত, সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি রুপির একটি মানি লন্ডারিং মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও তিনি প্রতারণা করে কোটি কোটি রুপি হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |